ঢাকা, ০৪ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুর আহম্মেদ শাহরিয়ার বলেছেন, আইনের বাইরে কোনো অভিযান পরিচালনা করেননি। তিনি আইন অনুযায়ীই তিনি সবসময় পরিচালনা করেছেন। আইনের বাহিরে কিছু করেননি।
রমজানে ভেজালবিরোধী অভিযান, বাজার মনিটরিং, মূল্যের দাম ও গুণগত মান যাচাই করা এবং নকল পণ্য শনাক্তকরণে অভিযান চালিয়ে আলোচনায় আসেন মঞ্জুর শাহরিয়ার। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার বিকালে তার নেতৃত্বে আড়ংয়ের উত্তরা শাখায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানে ছয় দিনের মধ্যে একই পণ্যের দাম দ্বিগুণ নেয়ায় আড়ংয়ের সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা এবং শাখাটি সাময়িকভাবে বন্ধ করেন তিনি। জরিমানা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মঞ্জুর শাহরিয়ারের বদলির আদেশ দেয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে তাকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানান। এরপরই তাকে বদলির আদেশ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তবে জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদের দাবি, ‘ওই কর্মকর্তা (মঞ্জুর শাহরিয়ার) ইল মোটিভেটেডলি কিছুটা প্রোপাগান্ডা করেছেন। জনমনে যেহেতু ভুল মেসেজ যেতে পারে সেজন্য আমরা আদেশটি বাতিল করেছি। আড়ংয়ে অভিযানের আগেই বদলির আদেশ হয়।’
তবে জনপ্রশাসন সচিবের অভিযোগ অস্বীকার করে মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী আমি সবসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। অভিযানের বিষয়ে আমার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানেন। আমি আইনের বাইরে কখনো কোনও অভিযান পরিচালনা করিনি।’
বদলির আদেশ বাতিলে খুশি কিনা জানতে চাইলে মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেন, ‘আমার খুশি-অখুশির কিছু নেই। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে যেখানেই দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেখানেই কাজ করবো। আমি বদলির আদেশ বাতিলের অর্ডার টিভিতে দেখেছি। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ বা খুশি হওয়ার কিছু নেই। আমি পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি পণ্যের কথা বলে মানুষের কাছে শতশত পণ্য বিক্রি করে। কিন্তু কাগজ দেখতে চাইলে আমদানির কাগজ দেখাতে পারে না। অনেক পণ্যে দামের কোনও স্টিকার থাকে না। এসব পণ্য আদৌ বিদেশি কিনা, নাকি চকবাজারের? নাকি লাগেজ পার্টি নিয়ে আসে, তা স্পষ্ট নয়। এসব কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশি পণ্য বিক্রি করে অথচ সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স কিছুই দেয় না।’
মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেন, ‘সরকারি চাকরি করি। সরকার যেখানে যোগ্য মনে করবে সেখানেই বদলি করবে। এটা স্বাভাবিক বিষয়।’ আমাকে বদলি করা হয়েছিল। এটি বাতিল করে আবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে রাখা হয়েছে। আমি আগে এখানে কাজ করেছি, আগামীতেও সততা, নিষ্ঠা ও যোগ্যতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করবো।
Leave a Reply