হেলথ ডেস্ক, ২৪ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): দগ্ধ রোগী স্থানান্তরের কাজ শেষ হওয়ায় শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে সব দগ্ধ রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নেওয়া শেষ হয়েছে। ফলে শনিবার সকালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত ১০ এপ্রিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) মো. সিরাজুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ হাসপাতাল সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে এবং ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে নির্ধারিত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বর্তমান রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নবনির্মিত ভবনে স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
পরের দিন ১১ এপ্রিল হঠাৎ করে চিকিৎসকদের আপত্তির কারণে হঠাৎ করেই রোগী সরানোর কাজ থেমে যায়। তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন তখন বলেছিলেন, এখানে করোনা ইউনিট করা হবে না। এ বিষয় জানিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। তবে চিকিৎসকদের আপত্তির মুখেই রোগী সরানো শুরু হয়।
এরপর বেশ কয়েকবার রোগী নেওয়া হয়। আবারও চিকিৎসকদের আপত্তির কারণে রোগীদের নেওয়ার কাজ বন্ধ করা হয়। অবশেষে সকল নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটেই হচ্ছে করোনা ইউনিট।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেছেন, বৃহস্পতিবার সব রোগীদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেলে করোনা রোগীদের ভর্তি করা হবে। ঢামেকের বার্ন ইউনিটটি ৩০০ শয্যার। তবে এতে রোগী থাকতো চার শ থেকে সাড়ে চার শ।
Leave a Reply