দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ও উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাইলেন সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি হলেন মোহাম্মদ সুফিউর রহমান শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না- এমন চর্চা আমরা দেখি না : বিএনপি বিএনপি বৈঠক করলো সিপিবি, বাসদসহ বাম নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করলো গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর এটি কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয় : মির্জা ফখরুল বিচার ও সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে : এনসিপি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বৈঠক
আমাদের অতি দ্রুত নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

আমাদের অতি দ্রুত নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ইং (দৈনিক দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ আসাদ দিবসের এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না।’।

 

তিনি আরো বলেন, , ‘আমি একথা গতকালও বলেছি, আমাকে একজন সাংবাদিক ভাই এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে একটা নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনের সময়ে।

 

ফখরুল বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব, প্রত্যাশা করবো এবং আশা করি যে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সেই নিরপেক্ষতা পালন করবেন এবং দেশে যে সংকট আছে, সেই সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য তারা কাজ করবেন।’

 

তিনি বলেন, ‘আসাদের মৃত্যু, আবু সাঈদের শাহাদাতবরণ এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবনদান একাত্তর সাল থেকে তার আগে থেকে শুরু করে একটা সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য সেটাকে যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের অর্থবহ করতে হয় তাহলে আমাদের যেটা প্রয়োজন হবে যে, ন্যূনতম বিষয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া। আমরা যারা একসঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করছিলাম, আমরা ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এখন যদি কোনো পরিবর্তন করতে হয়, পরিবর্ধন করতে হয় সেটাও সামনে আসতে পারে, ওটাকে সামনে রেখেই আমাদের এগুতে হবে।’

 

‘আমি মনে করি, আমাদের এই নুন্যমত যে সংস্কার হচ্ছে নির্বাচনকেন্দ্রিক, সেই সংস্কার শেষ করে আমাদের অতি দ্রুত নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সরকার বেরিয়ে আসবে তাদের দায়িত্ব হবে এখানে পুরোপুরিভাবে সেই সংস্কারের যে কমিটমেন্ট আছে সেই কমিটমেন্টগুলো বাস্তবায়িত করা, জনগনের প্রত্যাশা পুরণ করা। আসাদের রক্তকে, আবু সাঈদের রক্তকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারি না। সেই জন্য আমাদের ঐক্য গড়ে তুলে তাদের (শহীদদের) স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এই হোক আজকের প্রতিজ্ঞা।’

 

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহীদ আসাদ পরিষদের উদ্যোগে এই ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা হয়।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা আমি বলি, যে কথা বললে পরে আমার সমালোচনাও হয়। আমি বলি যে, নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কেন বলি এই কথাটা আমি বারবার বলার চেষ্টা করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, যে নির্বাচন থেকে আমরা ১৫ বছর বঞ্চিত, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করার একটা সুযোগ পাবে।’

 

‘আপনারা দেখছেন যে, জোর করে সেই বিষয়টাকে যদি বিতর্কিত করে ফেলা হয়, তাহলে তো জনগণ আবার সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। আমাদের যে অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে, এই ধরনের নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, সময়ক্ষেপণ করা হয়, তাহলে অন্য শক্তিগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। তখন জনগণ তাদের চাহিদা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হয়।’

 

তিনি বলেন, ‘আমরা এ কথাটা বার বার বলতে চাই, নির্বাচনে কে আসবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সেটার জন্য আমরা লড়াই করেছি দীর্ঘ ১৫ বছর। আমি সেই কারণে বলেছি যে, বর্তমান যে অন্তবর্তী সরকার আছে, সেই সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক।’

 

‘স্বাভাবিকভাবে একটা ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পরেই জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন পর্যন্ত সমাজের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, সেই অবস্থায় কিন্তু আমরা সেই ধরনের একটা ব্যবস্থা দেখে এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না যে, দেশের মানুষের প্রত্যাশাগুলো পূরণ হবে।’

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন রকম প্রোগ্রাম আছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে তারা এগুতে চায়। তবে একটা বিষয় সবাই একমত, একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচনটা শুধু একটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, নির্বাচনটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য একটা পথ সৃষ্টি করা, একটা দরজা খোলা।’

 

‘আজকে প্রশ্ন উঠছে যে, সংস্কারগুলো করে আপনার নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্ন। তাহলে কি আমরা ৪-৫ বছর ধরে অপেক্ষা করব, বা যতদিন সংস্কার সম্পন্ন না হয় ততদিন ধরে অপেক্ষা করবে জনগণ? তাহলে তো তারা তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা এখনো দেখছি, আমাদের আমলাতন্ত্র আগের যে ব্যবস্থা ছিল, সেই ব্যবস্থায় তাএখনো সচিবালয় থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনে একইভাবে তাদের ভূমিকা পালন করছে, কোনো রদবদল হয়নি।

 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, স্কুল-কলেজগুলোতে সেই ধরনের লেখাপড়া হয় না, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এটা অতীত থেকেই এসেছে এবং সেই পরিবর্তন এতো অল্প সময়ে সম্ভবও নয়। কিন্তু আমরা সেই পরিবর্তনগুলো চাই।’

 

‘সেই কারণে আমরা বলেছি যে, নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচন দ্রুত হলে যে দল ক্ষমতায় আসবে তার যে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট টু পিপলস থাকবে, সেই কমিটমেন্টগুলো পালন করার জন্য অবশ্যই তারা দায়বদ্ধ থাকবে।’

 

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুফুর রহমান, অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান আসাদ, শহীদ আসাদের ছোট ভাই আজিজুল্লাহ এম নুরুজ্জামান নূর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT