ঢাকা, ০১ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): এবারের ঈদযাত্রায় সড়কপথে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। যানবাহন চালক ও যাত্রীরা বলছেন, বেশ কয়েকটি সেতু, ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস নির্মাণ শেষে চালু হওয়ায় কমেছে যানজট। এদিকে, সকালে মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে যাতায়াতে এই স্বস্তি ঈদ পর্যন্ত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ঈদ ঘনিয়ে আসায় সড়ক পথে যাত্রীদের এখন উপচে পড়া ভিড়। তারপরেও টিকিট পাওয়া ও যথাসময়ে বাস ছেড়ে যাওয়ায় স্বস্তিতে যাত্রীরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রায় প্রতিনিয়তই লেগে থাকতো যানজট। কিন্তু ২৫ মে চন্দ্রা এলাকায় ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর পাল্টে গেছে এবারের চিত্র। অনেকটাই ফাঁকা মহাসড়ক। তাইতো স্বাচ্ছন্দেই যাত্রা করছেন ঘরমুখো মানুষ।
সবচেয়ে বেশি স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রীরা। ঈদ সামনে রেখে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু খুলে দেয়ায় যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলেছে তাদের।
ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের অবসান হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও। চালু হয়েছে কাঁচপুরে দ্বিতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু, সোনারগাঁও ফ্লাইওভার ও রূপগঞ্জ ফ্লাইওভার। এতে দুর্ভোগ নেই বললেই চলে।
অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়ক। এতে স্বস্তি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
শনিবার (০১ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, সড়কপথে বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ হওয়ায়, এবার স্বস্তির ঈদ করতে পারবেন ঘরে ফেরা মানুষ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের ভোগান্তির কোনো কারণ কোথাও হয়নি। ভাড়ার ব্যাপারে আমি মানুষের সাথে কথা বলেছি, আমার কাছে কেউ কমপ্লেইন করে নি। কারো যদি কোনো কমপ্লেইন থাকে জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া অংশে স্বাভাবিক রয়েছে যানবাহনের গতি। রাস্তায় খানা-খন্দ না থাকায় আনন্দে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রী ও চালকরা।
Leave a Reply