দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ও উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাইলেন সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি হলেন মোহাম্মদ সুফিউর রহমান শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না- এমন চর্চা আমরা দেখি না : বিএনপি বিএনপি বৈঠক করলো সিপিবি, বাসদসহ বাম নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করলো গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর এটি কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয় : মির্জা ফখরুল বিচার ও সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে : এনসিপি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বৈঠক
করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে স্টেম সেল থেরাপি

করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে স্টেম সেল থেরাপি

হেলথ ডেস্ক, ২৬ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট):  নভেল করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই। এরইমধ্যে একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা মানবশরীরে এই প্রাণ সংহারক মহামারীর প্রতিষেধকের পরীক্ষা করেছেন। সুনির্দিষ্ট ওষুধ না থাকা ব্যাধিটিতে আক্রান্ত সাতজন সেরে উঠেছেন স্টেম সেল থেরাপির প্রয়োগে। এদের মধ্যে ৬ জন ইজরায়েলের। অন্যজন যুক্রাষ্ট্রের বাসিন্দা।

করোনায় আক্রান্ত সুস্থ করতে বিশ্বজুড়ে নানা চিকিৎসাপদ্ধতির প্রয়োগ করছেন চিকিৎসকরা। কোথাও প্লাজমা প্রতিস্থাপন, কোথাও কিছু অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগের সাহায্য নিয়ে, আবার কোথাও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকে আঁকড়ে রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। এই তালিকায় অন্যতম সংযোজন এই স্টেম সেল থেরাপি।

মৃত্যুপথযাত্রী এই ৭ জন কোভিড-আক্রান্তের ফুসফুস থেকে শুরু করে হার্ট, কিডনি, লিভার সবই প্রায় জবাব দিয়ে দিয়েছিল। গতানুগতিক চিকিৎসায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ চেষ্টা হিসেবে তাঁদের দেওয়া হয় প্রসূতি মায়ের প্ল্যাসেন্টা থেকে সংগ্রহ করা বিশেষ ধরনের কোষ বা স্টেম সেল। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘প্লুরিস্টেমস অ্যালোজেনিক প্ল্যাসেন্টাল এক্সপ্যান্ডেড সেল’ বা ‘পিএলএক্স সেল’। এ বার কাজ হল ম্যাজিকের মতো।

স্টেম সেল থেরাপি কী?

সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও ভায়রোলজিস্টের মতে, সন্তান জন্মানোর পর মায়ের শরীর থেকে যে প্ল্যাসেন্টা বেরিয়ে আসে, তার মধ্যে রয়েছে এসব স্টেম সেল। বিজ্ঞানীরা এখান থেকে কোষ নিয়ে তাকে পরিণত করেন স্মার্ট কোষে। এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হয় সেই কোষ যে শরীরে যাবে, সেই শরীরের প্রয়োজন বুঝে, ঠিক তার মাপ মতো ওষুধ তথা প্রোটিন নিঃসরণ করবে। স্টেম সেল থেরাপি মূলত এটিই।

কিন্তু কী ভাবে কাজ করে এটি?

ভাইরাসের পরিমাণ খুব বেড়ে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাকে ধ্বংস করার চেষ্টায় তা কখনও কখনও অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে প্রচুর পরিমাণে সাইটোকাইন রাসায়নিকের প্রবাহ শুরু হয়, যাকে বলে সাইটোকাইন স্টর্ম। এদের মধ্যে কিছু রাসায়নিক প্রদাহ ঘটিয়ে ফুসফুসের প্রচুর ক্ষতি করে।

ফলে অক্সিজেন সরবরাহ কমে গিয়ে অকেজো হতে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রত্যঙ্গ। দেখা দেয় মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর। রোগী মারা যান। প্রোগ্রামিং করে তৈরি করা কোষ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করালে তারা শরীরের ভিতরে প্রোটিন তথা ওষুধ তৈরি করে। ওষুধ বলতে দু’ধরনের প্রোটিন। একটি প্রদাহ কমায়। আরেকটি অতিসক্রিয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। একে বলে ‘ইমিউন মডিউলেশন’।

এর ফলে অক্সিজেনের পরিমাণ ফের নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রদাহের প্রকোপ কমাতে শুরু করে। অকেজো হতে থাকা প্রত্যঙ্গরা ফিরে পায় তাদের কার্য ক্ষমতা। তবে এই স্টেম সেল পরীক্ষার প্রাথমিক ধাপটুকু সারা হয়েছে। তাতে সাড়া মিলেছে ভাল। আরও অনেক পর্যায় এর বাকি। তবেই কোভিডের বিরুদ্ধে এই স্টেম সেল থেরাপি বিশ্বব্যাপী সমাধান হয়ে উঠতে পারবে কি না বোঝা যাবে।

ইজরায়েল ও আমেরিকার এই সাত জন রোগীর বেলায় ইজরায়েলের প্লুরিস্টেম থেরাপিউটিক নামক সেল থেরাপি সংস্থার বিজ্ঞানীরা এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন। সংস্থার ডিরেক্টর ইয়াকি ইয়ানায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সাধারন ওষুধপত্রে যেমন ডোজ আগে থেকে ঠিক করা থাকে, সেই মাত্রাতেই শরীরের ভিতরে গিয়ে প্রোটিন থেকে ওষুধ তৈরি করতে পারে এই স্টেম সেল বা পিএলএক্স সেলগুলো।

করোনা ছাড়া আর কোথায় এর সাফল্য?

হার্ট অ্যাটাকে মৃত পেশীতে গিয়ে স্টেম সেলের প্রোটিন নতুন হৃদকোষ তৈরি করতে পারে। পায়ের শিরা পচে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও তৈরি করতে পারে নতুন শিরা। রক্তের ক্যানসার, কিছু বিশেষ ধরনের রক্তাল্পতা বা রশ্মি চিকিৎসায় অস্থিমজ্জা নষ্ট হয়ে গেলে, নতুন অস্থিমজ্জা তৈরতেও সে সক্ষম।

ছয়জন ইজরায়েলের বাসিন্দা ও একজন আমেরিকানের ওপর এই স্টেম সেলের সাফল্যের হার ১০০ শতাংশ। আর এই মুহূর্তে যতটুকু কাজ হয়েছে তার ভিত্তিতে ওষুধ না আসা পর্যন্ত এই স্টেম সেলকে আঁকড়ে কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে নতুন করে অস্ত্র শানাচ্ছেন চিকিৎসক-গবেষকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT