ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ মে ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): দ্বিতীয় বারের মতো ভারতের সরকার গঠন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শপথ নিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভার ৫৮ সদস্য। আর তাদের মধ্যে রয়েছেন সমাজসেবী প্রতাপ সারাঙ্গি। ৫৮ সদস্যের মন্ত্রিসভার মধ্যে ৫৬ নম্বরে থাকা প্রতাপ সারাঙ্গি এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। কারণ উড়িষ্যা রাজ্যের প্রতাপ সারাঙ্গি মন্ত্রিসভার বাকীদের চাইতে ভিন্ন।
অনারম্বর জীবন যাপন করা প্রতাপ সারাঙ্গি বসবাস করেন উড়িষ্যা রাজ্যের একটি কুড়েঘরে। আর তার বাহন একটি বাইসাইকেল। কাঁধে ঝোলা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তাই স্থানীয়ভাবে রাজনীতিবিদের বাহিরেও তার পরিচয় তিনি একজন সমাজসেবী।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারতের বহু ছাপোষা মানুষ, যুব সমাজ তার থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছে। অনুপ্রাণিত হয়েছে গোটা দেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মন্তব্যই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ তাকে তুলনা করছেন খোদ নরেন্দ্র মোদির সাথে। বলা হচ্ছে উড়িষ্যার ‘মোদি’ সারাঙ্গি!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো প্রতাপ সারাঙ্গিও বেলুর মঠে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য গিয়েছিলেন। তবে তার বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন জেনে স্বামী আত্মস্থানন্দ তাকে সন্ন্যাসে দীক্ষিত না করেই বাড়িতে ফেরত পাঠান।
ওই গুরু তাকে মায়ের দেখাশোনা করেন। তারপর থেকে সংসারের দিকে না এগোলেও, প্রতাপ সারাঙ্গি নিজের মতো করে এলাকাকেই সংসার বানিয়ে নিয়েছিলেন। আর আজ থেকে তিনি মোদির মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য।
এর আগে ২০০৯ সালে উড়িষ্যা বিধানসবা নির্বাচনের বিজেপির টিকিটে তার উড়িষ্যা থেকে দাঁড়ানোর কথা ছিল। তবে তিনি দাঁড়াতে পারেননি। কারণ তিনি বাসে ভ্রমণ করার সময় প্রার্থীপদের টিকিট হারিয়ে ফেলেছিলেন। শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নির্দলীয় হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
Leave a Reply