দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর এটি কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয় : মির্জা ফখরুল বিচার ও সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে : এনসিপি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বৈঠক নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আমরা ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই : নাহিদ ইসলাম মানুষের চাওয়া নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত : জয়নুল আবদিন ফারুক আ.লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার আদর্শ হচ্ছে ভারত এবং তার ঠিকানাও ভারত : দুদু লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপিতে যোগ দিয়েছেন লে. জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দী শাহ মোফাজ্জল কায়কোবাদ দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুরাদনগরের জনসভার মঞ্চে
গাজায় তীব্র শীত ঠান্ডার কারণে মারা যায় শিশু

গাজায় তীব্র শীত ঠান্ডার কারণে মারা যায় শিশু

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ জানুয়ারি২০২৪ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরাইলি আগ্রাসন। এরই মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা। ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় শতভাগ অবকাঠামো। বাসিন্দাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই বললেই চলে। অনেকেই ধ্বংস্তূপের ওপরে, কেউ আবার খোলা আকাশের নিচে তাঁবু খাঁটিয়ে করছে বসবাস। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে প্রতিনিয়তই দেখা দেয় নতুন আতঙ্ক। যখন তখন ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী মহামারি। এই অবস্থায় উপত্যকাটিতে এবার নতুন আতঙ্ক হিসাবে দেখা দিয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। যার ফলে ভুগছে গাজা, দীর্ঘ হচ্ছে শিশু মৃত্যুর সারি। মঙ্গলবার আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় শীতের তীব্রতা এতই বেশি যে ঠান্ডায় জমে গিয়ে অঞ্চলটিতে এক সপ্তাহে ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসকদের মতে, গত কয়েকদিনে গাজায় শীত ও ঠান্ডায় শিশুমৃত্যু হার বেড়েছে। গত প্রায় ১৫ মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এসব হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। তার ওপর সেখানে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হামলার পাশাপাশি শীতেও মারা যাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। মৃত শিশুর বাবা ইয়াহিয়া আল-বাত্রান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে থাকতেন তারা। তাদের যমজ সন্তান জুমা ও আলি। গত কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ভারী বৃষ্টিতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।  তিনি আরও বলেছেন, ‘গত রোববার স্ত্রী নুরা জুমাকে জাগানোর চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু সে উঠছিল না। আমি জুমাকে তুলে দেখি সে সাদা হয়ে গেছে এবং বরফের মতো ঠান্ডা, জমে গেছে। আমি আলির কথা জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি বললেন সেও উঠছে না। তখনই হাসপাতালে নেওয়া হয় তাদের।’

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত অবস্থায় পৌঁছে গেছে। সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর স্থল অভিযান ও বোমা হামলায় ৯০ শতাংশ মানুষকে অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। কিছু মানুষ বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার তীব্র শীত বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এদিকে যুদ্ধ বন্ধের দরকষাকষিতেই দিন পার করছে ইসরাইল-হামাস। এই মাসের শুরুতে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ইসরাইলি এবং হামাস নেতারা লড়াই বন্ধের আশা প্রকাশ করেছিলেন। তবে বছর শেষের আগে কোনো চুক্তি হওয়ার আশা আবারও ম্লান হয়ে গেছে।

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা গাজায় খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং আশ্রয়ের জিনিসপত্র বহনকারী হাজার হাজার ত্রাণ ট্রাক ঢুকতে দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো বলেছে, ইসরাইলি বাহিনী ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে। যার ফলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। উত্তরের শহর বেইত লাহিয়ার বাসিন্দা ইয়াহিয়া আল-বাত্রানের পরিবার যুদ্ধের শুরুতেই তাদের বাড়ি ছেড়ে আল-মাঘাজি নামে একটি উন্মুক্ত বালিয়াড়ি এবং ঝোপঝাড়ে ঢাকা এলাকায় চলে আসে।

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এই এলাকাকে মানবিক এলাকা হিসাবে নির্ধারণ করেছিল। পরে আল-মাঘাজিতেও হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। তখন তারা কাছের দেইর আল-বালাহ শহরের আরেকটি  শরণার্থী শিবিরে চলে আসে। এই এলাকার চারপাশে বহু তাঁবু। কয়েক মাসের ব্যবহারে এরই মধ্যে সেগুলো ছিঁড়ে গেছে। অথবা প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিতে উড়ে গেছে বা প্লাবিত হয়েছে। পরিবারগুলো ছেঁড়া প্লাস্টিকের শিট জোড়া লাগিয়ে এবং পানি ঠেকাতে বালু স্তূপ করে সেগুলো মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলি বাহিনী হামাস যোদ্ধা ও বেসামরিক লোকজনের মধ্যে কোনো বাছবিচার করে না। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় ৪৫ হাজার ৫৪১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ১৭ হাজার ৪৯২ শিশু। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ জনে পৌঁছেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT