রংপুর, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চীন থেকে আসা নীলফামারী জেলার ডোমারের এক শিক্ষার্থী জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে জ্বর হলেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত ভাবার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু। সাবধানতার জন্য তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
তাজদিদ হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থী আজ শনিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
হাসপাতালের অন্যান্য রোগী, তাদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যক্ষ ডা. নুরন্নবী লাইজু বলেন, ‘কারও জ্বর হলেই তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। বর্তমান জ্বর হলো সিজনাল অসুখ।’
চীনফেরত তাজদিদ হোসেনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ। বলেন, ‘নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাজদিদ করোনায় আক্রান্ত কি না তা বলা যাবে না।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাজদিদ চীনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। তিনি আড়াই বছর ধরে সেখানে পড়াশোনা করছেন। গত ২৯ জানুয়ারি তাজদিদ চীন থেকে নেপাল হয়ে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
বাড়িতে আসার পর তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দিলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। কিন্তু কোনো কাজ না হওয়ায় তাকে শনিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি চীন থেকে দেশে এসেছেন জানার পর তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নুরন্নবী লাইজু বলেন, ‘তাজদিদ যেহেতু চীন থেকে দেশে এসেছেন, তাই তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেছি। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে সে করনাভাইরাস রোগে আক্রান্ত কি না আমরা নিশ্চিত নই। তার রক্ত পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় রোগতত্ত্ব বিভাগে পাঠানো হবে।’
মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে অধ্যক্ষ জানান, তাজদিদের অবস্থা সংকটাপন্ন নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে।
Leave a Reply