ঢাকা, ১৪ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ শুক্রবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনে গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে এই বাজেট দেয়া হয়েছে। এই বাজেটে সাধারণ জনগণের জন্য কিছু রাখা হয়নি। এর মাধ্যমে ধনী শ্রেণিকে আরো ধনী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এই বাজেট জনগণ মেনে নেয়নি। তারা সম্পূর্ণ প্রত্যাখান করেছে।
মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারের এই প্রস্তাবিত বাজেট একটি উচ্চাভিলাসী ও গণবিরোধী বাজেট। সরকার জনগণকে বাইরে রেখে যেভাবে নির্বাচন করেছে, একই ভাবে বাজেটও দিয়েছে। এটি জনগণের বিরুদ্ধে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল অর্থমন্ত্রী ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার উচ্চাভিলাসী বাজেট ঘোষণা করেছেন। বাজেটের আকার বড় করার চমক সৃষ্টির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু বাজেট বৃদ্ধি এ প্রবনতা বছর শেষে চুপসে যেতে দেখা যায়। এ বাজেট নিয়ে জনমনে কোনো উচ্ছ্বাস নেই।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এই বাজেট সারা বছরে সরকারের ব্যর্থতার দলীল। এর মাধ্যমে জনগণের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যখন কোনো অনির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে না। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যেখানে একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। এই সরকার তাদের নিজেদের স্বার্থে বাজেট দিয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর কিছু দেশে দেখবেন কিছু মানুষ নিজেরা ব্যবসা করে, তারা দেশ পরিচালনা করে, তারাই আইন প্রণয়ন করে। বাংলাদেশেও একই অবস্থা এখন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
Leave a Reply