স্পোর্টস ডেস্ক, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): বাটলার বলেছেন, ‘আমি সবচেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম একটা কথা ভেবে— হেরে যাওয়ার পরে আর কীভাবে ক্রিকেট খেলে যেতে পারব। জানতাম, এ রকম সুযোগ হয়তো জীবনে আর আসবে না। লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনাল। এর চেয়ে বড় মঞ্চ আর কী হতে পারে। আর আমি ভাবছিলাম, এ বারও যদি ট্রফি জিততে না পারি, তা হলে হয়তো অনেক, অনেক দিন ব্যাট হাতে তুলতে পারব না।’
বাটলার জানিয়েছেন, মনোবীদ ইয়ংয়ের সঙ্গে কথা বলে উপকৃত হয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু ফাইনাল নয়, বিশ্বকাপের মাঝপথেও এ রকম অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগেছিলেন বাটলার। যখন মনে হয়েছিল, সেমিফাইনালের আগেই হয়তো ছিটকে যাবে ইংল্যান্ড। বাটলার বলেছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিছুতেই মানতে পারছিলাম না যে, একটা ম্যাচ হারলে আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। একটা ম্যাচ হারলেই চার বছরের পরিশ্রম জলে চলে যাবে।’
বাটলার ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এই ভেবে যে, সেমিফাইনালের আগে ছিটকে গেলে কী রকম প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হতে পারে তাঁদের। ‘আমাদেরও হয়তো চোকার্স বলা শুরু হত। আরও কী কী বলা হত কে জানে। যত এ সব ভেবেছি, তত মনে যেন ভয় ঢুকে গিয়েছিল,’ বলেছেন বাটলার।
ফাইনালে বাটলার ৫৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। এর পরে সুপার ওভারে এসেও ভাল খেলেন। সুপার ওভারের শেষ বলে জিততে গেলে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল দু’রান। ব্যাট করছিলেন গাপটিল। কী মনে হচ্ছিল শেষ বলের আগে? প্রশ্নের জবাবে বাটলার বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখে হয়তো আপনাদের মনে হতে পারে, ওই সময় সবাই নার্ভাস থাকবে। কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে বলব, ওই সময় মাঠের বাইরে থাকার চেয়ে মাঠের ভিতরে থাকা অনেক ভাল। কারণ, তা হলে ম্যাচটার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’
সেটাই করেছিলেন বাটলার। বিশ্বকাপের ভাগ্য ঠিক করে দেন মুহূর্তের তৎপরতায়। ‘গাপটিল বলটা লেগ সাইডে ঠেলেছিল। জ্যাসন (রয়) যখন বলটা ধরে, আমার মনে হয়েছিল থ্রোটা ঠিক হলে আমরা ম্যাচটা জিতে যাব। জানতাম, গাপটিল ক্রিজের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারবে না। চাপের মুখে ওই সময় বলটা ঠিকঠাক ধরা হয়তো সহজ ছিল না। কিন্তু জানতাম, কাজটা করতে পারব। ফাইনাল হলেও তো ব্যাপারটা অন্যরকম কিছু ছিল না। বলটা ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দেওয়া। সেটা করতে পেরেছিলাম,’ বলেছেন বাটলার।
Leave a Reply