ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ মে ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ফল খারাপ হাওয়ার পর থেকেই তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক চোখে পড়েছে। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়। একই সঙ্গে আরও দুই বিধায়ক এবং চারটি পুরসভার বেশির ভাগ কাউন্সিলরও শিবির বদল করেছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়া নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা দলবদল করেছেন। বেশি সংখ্যায় কাউন্সিলররা শিবির বদল করায় এই সমস্ত পুরসভার দখল বিজেপির হাতে চলে আসবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। দলের নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, একটি দল কিছু আসন পেয়েছে বলেই সেখানে যারা যোগদান করছে তারা আদর্শের রাজনীতি করে না। আদর্শ থাকলে জীবন দিয়ে দেওয়া যায়। জাহাজ ঝড়ে পড়লে ইঁদুরই সবার আগে সঙ্গ ছাড়ে।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এই যোগদান মানসিক ভাবে যোগদান করা নয়। ওটা আলাদা জিনিস আর রিভালভারের ভয়ে যোগদান করা আরেক জিনিস। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আমরা কী পারি সেটা ২০২১ সালে দেখিয়ে দেব।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, বাংলার একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক আমদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন বিধায়কতো কোন ছার, একজন কাউন্সিলরও দল বদল করবেন না। কিন্তু এখানে ৫০ জনের বেশি কাউন্সিলর আছেন। বিধায়ক আছেন তিন জন। পরের মাস থেকে আরও অনেকে যোগ দেবেন বিজেপিতে।
তিনি বলেন, ‘বাংলায় সাত দফায় নির্বাচন হয়েছিল। পরের মাসে আমরাও সাত দফায় যোগদান কর্মসূচি পালন করব। তিনি বলেন প্রতি মাসে আলাদা আলাদা করে এ ধরনের কর্মসূচি হবে।’তারা কি বাংলার সরকার ভেঙে দিতে চান? উত্তরে কৈলাশ বলেন, ‘আমরা চাই ২০২১ সালেই বাংলায় বিজেপির সরকার হোক। মুখ্যমন্ত্রী যাতে তার মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকেন তার জন্য আমাদের শুভ কামনা রইল। কিন্তু ওর নিজের লোকেরা ওকে ছেড়ে চলে এলে আমাদের কোনও দোষ থাকবে না।’
Leave a Reply