ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আসছে শনিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ তৈরিসহ নানা প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে আসছে নতুন নেতৃত্ব। পদ প্রত্যাশীরা চাইছেন, দীর্ঘদিন নগরে যারা শ্রম দিয়েছেন, তারা আসুক নেতৃত্বে। হাইকমান্ড বলছেন, নানা যোগ্যতার বিবেচনায় নবীন-প্রবীণে সমন্বয় করা হবে। তবে প্রত্যাশা নতুন মুখের।
গত ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুই মহানগর বিভক্ত করে কমিটি করা হয়। এতে উত্তরে একেএম রহতুল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দক্ষিণে আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
ইতোমধ্যে নতুন ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ মুখের সন্ধান করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি চান, পরিশ্রমী, দক্ষ ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগ নেতারাও চাইছেন, দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই নগরে অন্তত যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব আসুক। সমন্বয় হোক প্রবীণ ও নবীনের। শুদ্ধি অভিযানের ছাপ পড়ুক এখানেও।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, ‘সারাদেশে নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা সব সময় তিনটা বিষয় দেখি। দলের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পৃক্ততা, দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় তার জনপ্রিয়তা। ঢাকা মহানগরে এগুলো দেখে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। তবে আমরা সব সময় চাই নতুন মুখ। তারপরও দেখি কারা প্রার্থী হয়। তাদের মধ্য থেকে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি করা হবে।’
ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘সম্মেলন মাত্রই পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে ঢাকা সিটির সম্মেলনেও। তবে সিটি নির্বাচনকে মাথায় রেখে সংগঠন সাজানো হবে। যাতে সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় আমরা শক্ত অবস্থানে থাকতে পারি। এটাই আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় অতীতের তুলনায় আওয়ামী লীগ বেশ দুর্বল। এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পুরনো ও অভিজ্ঞ মায়া চৌধুরী এবং অ্যাডভোকেট কামরুলকে ফের নেতৃত্বে আনার পক্ষে আওয়ামী লীগের একপক্ষ। সে ক্ষেত্রে উত্তরে মায়া ও দক্ষিণে কামরুলকে দেয়া হতে পারে। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসা কাউকে সাধারণ সম্পাদক করে দেয়া হতে পারে।
ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে ডজনখানেক নেতা দ্বারে দ্বারে হাজিরা দিচ্ছেন। এরা হলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আবু আহমেদ মান্নাফী, আওলাদ হোসেন, দিলীপ রায়, আবদুল হক সবুজ, ওমর বিন আবদাল আজিজ (তামিম), এএসএম শহীদুল ইসলাম, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, এএফএম আবদুল হক, ইঞ্জিনিয়ার লুৎফর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, সালাউদ্দিন বাদল, ডা. নজরুল ইসলাম, এসএন রায় সমর ও অ্যাডভোকেট ফোরকান মিয়া।
এদের মধ্যে পুরনো ঢাকার ও সাংগঠনিক অবস্থান বিবেচনায় ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, নুরুল আমিন রুহুল ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বেশ ভালো অবস্থানে আছেন।
অপরদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের পদ পদবীর দৌড়ে আছেন অবিভক্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পুরনো মায়া-কামরুলকে দুই নগরের দায়িত্ব দেয়ার আওয়াজ ওঠেছে সংগঠনে।
এছাড়াও ঢাকা উত্তরে বজলুর রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আসলামুল হক, ওয়াকিল উদ্দিন, এম এ কাদের খান, এসএম মান্নান কচি, হাবিব হাসান, সাইফুল্লাহ সাইফুল ও একেএম জসিম উদ্দিনও নেতৃত্বে আসতে চান।
Leave a Reply