নবীনগর, ১৩ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): লকডাউন ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে আনন্দ মিছিলের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। এ ঘটনায় রবিবার থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে সোমবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
নবীনগর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আনিসুজ্জামান বলেন, গতকালের ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের কোনো আবেদন করা হয়নি।
গতকাল নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি গ্রামে মোবারক নামে একজনের পা কেটে গ্রামে মিছিল করে উল্লাস করা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও এলাকার সর্দার আবু কাউছার মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ইতোমধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষে অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
বিরোধ মেটাতে আজ সোমবার সকাল ১০টায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের লোকজনের জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার একদিন আগেই দুই পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়। এ সময় একাধিক বাড়িতে আগুন ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে জিল্লুর রহমানের পক্ষের মোবারক হোসেনকে ধাওয়া করে কাউছার মোল্লার পক্ষের আবু মেম্বারের নাতি হাজির হাটি। আত্মরক্ষার্থে মোবারক নিজ বাড়িতে আত্মগোপন করলে বাড়িতে ঢুকে তার ডান পা টাকশাল দিয়ে গোড়ালি থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে কাটা পা নিয়ে গ্রামের সড়কে সড়কে মিছিল করে। এ ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের নবীনগর ও জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষকালে ১০-১৫টি বাড়িতে ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয়।
Leave a Reply