ঢাকা, ০৭ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): পাসপোর্ট ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে যাওয়া পাইলট ফজল মাহমুদের পরিবর্তে ক্যাপ্টেন আমিনুলকে পাঠানো হচ্ছে। কাতার ইমেগ্রেশনে ফজল আটক হওয়ার পর তাকে ভিভিআইপি ফ্লাইট থেকে প্রত্যাহার করা হয়। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে বিমানের দোহাগামী নিয়মিত ফ্লাইটে (বিজি-০২৫) নতুন পাইলটের ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অপারেশন বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, এ ঘটনার পর ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট অপারেশনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তার পরিবর্তে আরেকজন ক্যাপ্টেনকে পাঠানো হচ্ছে।
বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে ঢাকা থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান। কাতার ইমিগ্রেশনে ধরা পড়লে তাকে সেখানেই আটকে রাখা হয়। পরে ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে।
এরপর বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক (জিএম সেন্ট্রাল কন্ট্রোল) আশরাফ। পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দোহাগামী ফ্লাইট পাসপোর্টটি নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিবের নির্দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদকে ভিভিআইপি ফ্লাইট থেকে প্রত্যাহার করা হয়। দেশে ফিরলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দেশে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ৮ জুন দোহা বিমানবন্দর হয়ে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাকে বহন করতে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার বর্তমানে কাতার অবস্থান করছে।
Leave a Reply