ঢাকা, ০৬ এপ্রিল ২০২৩ইং ২০২৩ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বংশাল থানায় দায়ের করা মামলায় তিন আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত। রিমান্ডে যাওয়া তিনজন হলেন-মো. রাজু, শাওন ও শাহাদাৎ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ওই মামলায় আজ বিকালে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মাসুদুল হাসান। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের রিমান্ড দেন।
এরআগে ওই হামলার ঘটনায় আজ বংশাল থানার এসআই ইস্রারাফিল হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩শ’ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪৮টি ইউনিট কাজ করে। বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন আশেপাশে মার্কেটসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও এনেক্স ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এত প্রখর ছিল যে আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও ফায়ার সার্ভিস পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেছিল না। অধিকাংশ দোকান পাট পুড়ে যাওয়ায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩শ’ জন দুষ্কৃতকারী মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বেআইনিভাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে হামলা করে। এ সময় তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়।
এসময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের চকবাজার জোনের এডিসির নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। বাদী ও তার সহযোগীরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দৃস্কৃতকারীদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে আসামিরা তাদের কাজে বাধা দেয়। এ সময় আসামিরা হত্যা করার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, লোহার রড ও লাটিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এছাড়া এ হামলায় এসআই (নিরস্ত্র) মো. রুবেল খান গুরুতর জখম হন।
Leave a Reply