দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ), ২৮ আগষ্ট ২০২৫ইং (ঢাকা টিভি রিপোর্ট): সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনকে ঘিরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। বিভিন্ন মনোনয়নপ্রত্যাশী তৎপর হলেও ভোটার ও বিশ্লেষকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান। মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয়তায় তিনি এখন এ আসনের শীর্ষে অবস্থান করছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় মিজান এরশাদ সরকারের সময় গণআন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়দের মতে, আন্দোলনের মাঠে জীবন বাজি রেখে লড়াই করা এই আত্মত্যাগী নেতা সংসদেও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অটল থাকবেন।
বিএনপির দুঃসময়ে ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নিজের জনপ্রিয়তার প্রমাণ রেখেছেন তিনি। চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা ও সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখাই তার জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ।
একজন ভোটার বলেন— “চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাতদিন মানুষের পাশে ছুটে যেতেন মিজান ভাই। এবার তিনি সংসদে গেলে আমাদের এলাকার উন্নয়ন করবেন।”
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি পান ৯৬ হাজারের বেশি ভোট। যদিও পরে ফলাফল পাল্টে যায়, তবুও এত অল্প সময়ে বিপুল ভোট পাওয়া তার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রতিফলন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
করোনা মহামারির সময় তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে ত্রাণ ও ওষুধ পৌঁছে দেন। আবার ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় নিজে নৌকা চালিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। একজন বন্যাদুর্গত বলেন— “বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে গেলে অনেকেই আসেনি, কিন্তু মিজান ভাই খাবার ও ওষুধ নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।”
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি আলোচনায় রয়েছেন। তরুণ ভোটাররা তাকে আধুনিক ও প্রাণবন্ত নেতা হিসেবে দেখছেন। দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য খোরশেদ আলম বলেন— “আমরা বিশ্বাস করি, মিজান ভাই সংসদে গেলে যুবকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাঠপর্যায়ে মিজানের জনপ্রিয়তা দৃশ্যমান। তবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া এখন তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। একজন বিশ্লেষক বলেন— “সুনামগঞ্জ-৫ আসনের ভোটের অঙ্ক পরিষ্কার। জনগণ এখন মিজানের দিকেই ঝুঁকছে।”
দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন— “২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমাদের বিজয় কেড়ে নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এবার বিএনপি আমাদের নেতা মিজানুর রহমানকে ধানের শীষ প্রতীক দেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
গ্রামে-গঞ্জে মানুষের পাশে থাকা, নিয়মিত সমস্যার সমাধান এবং তরুণদের আস্থা অর্জনের কারণে মিজানুর রহমানের নির্বাচনী সম্ভাবনা এখন উজ্জ্বল। স্থানীয়দের আশা, দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি সুনামগঞ্জ-৫ আসনের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।
Leave a Reply