ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ মে ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে নতুন করে যুদ্ধাপরাধ ঘটাচ্ছে। সেখানে তারা জাতিগত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নতুন ওয়ার ক্রাইম, বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড ও নির্যাতন চালাচ্ছে। বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এতে বলা হয়, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে ভারি অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করেছে। এখানেই আরাকান আর্মি স্বাধীন রাখাইনের দাবিতে যুদ্ধ করছে। কয়েক মাস ধরে সেনাবাহিনী তাদের দমনে সেনা ও ভারি অস্ত্র মোতায়েন বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে এখানেই সেনাবাহিনী কর্তৃক ভয়াবহ জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে কমপক্ষে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিশ্বের অনেক দেশ এ হত্যাকান্ডকে গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে, হত্যা, গ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেছে সংস্থাটি। এসব স্থানে সাংবাদিকদের প্রবেশ প্রায় অসম্ভব হলেও গত কয়েক মাসে স্থানীয়দের হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে। অ্যামনেস্টির কাছে ১৪ বেসামরিক নাগরিক ও আরও অনেককে আহত করার বিষয়ে তথ্য আছে। ২০১৭ সালে যারা পালিয়ে যায় নি, তাদেরকেও হত্যা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি কেউ। সংগঠনটি মিয়ানমার সরকারের সমালোচনা করে বলে, খাদ্য, ঔষধ ও মানবিক সাহায্য রাখাইনে পৌঁছতে না দেয়া নিয়ে মিয়ানমার সরকার নির্লজ্জের মত চুপ রয়েছে।
Leave a Reply