ঢাকা, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ইং (দৈনিক দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পুরে যাওয়া ফ্যাসিবাদের মুখোঅবয়ব পরিদর্শনকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সংস্কার চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয় যে বছরের পর বছর করে যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এখন যতোটুকু করা যায় হবে, আবার নির্বাচিত সরকার আসলে তারা করবেন। এটাই হওয়া উচিত।’
রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পরে যে মুক্ত বাতাস তৈরি হয়েছে। মুক্ত পরিবেশে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র পাওয়ার অপেক্ষা করছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা বারবার আহবান করেছি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এ নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেছে। তবে আমাদের বিশ্বাস, অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে কামনা দিয়ে আমাদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা দেশের জনগণের ভোটের অধিকার, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। যে দাবি আদায় করতে গিয়ে ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে। সুমন গুম হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মানবিক ন্যায়বিচার দেশে ছিল না, শেখ হাসিনা ধ্বংস করে ফেলেছিল। আদালতকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় বানিয়ে ফেলেছিল। সেই জায়গা থেকে আমাদেরকে ফিরে আসতে হবে। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা সমৃদ্ধশালী হবে যেখানে গণতন্ত্র থাকবে।যেখানে গণতন্ত্র থাকবে কেউ আগুন দিয়ে কোনো কিছু পোড়াবে না। যেখানে সবাই নির্মাণ করবে। এই মেনুফেকশন আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গন।’
ছাত্রদলের সাবেক এ নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। কিন্তু সে সমস্ত তো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। এখন যতটুকু করা সম্ভব করবে। এরপরে যারা ক্ষমতায় আসবে তখন বিভিন্ন দাবি আসবে রাজনৈতিক দল সেগুলো নিয়ে সংস্কার করবে। কিন্তু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বন্ধ রাখা যাবে না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষক ছাত্র আছে যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে আমাদের সবার মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু ফ্যাসিবাদের প্রকাশ ঘটবে না। সবাই সবার সাথে ভিন্নতা থাকতে পারে থাকতে পারে কিন্তু কিন্তু মত প্রকাশের জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। আমাদের অর্জিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, গর্ব, আমাদের অর্জন ফ্যাসিবাদের থাবায় যেন নষ্ট না হয়। আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য পদ্মা মেঘনার মতো যে রহমান সেটা আমরা বহমানই রাখবো।’
Leave a Reply