ঢাকা, ০৮ আগষ্ট ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে দৈনিক ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হলেও চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটের। এ চাহিদা পূরণে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ভিশন দিয়েছে তা ২০৪১ সালের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে। উন্নত বাংলাদেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা কী রূপ হবে তা নিয়ে কাজ করছি। যার যে দায়িত্ব তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলে উন্নত বাংলাদেশ গড়া শুধু সময়ের ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো আগামীকাল শুক্রবার সরকারিভাবে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
জ্বালানি সেক্টরের সাম্প্রতিক অর্জন, অগ্রগতি ও অন্য বিষয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের বাণী প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বিপিসি ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানদের নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনে এসএমএস দেয়া হবে। এছাড়া জ্বালানি সেক্টরের উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় পেট্রোবাংলার ড. হাবিবুর রহমান অডিটোরিয়ামে সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন দফতর ও কোম্পানিগুলোকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে দিবস উদযাপন করা হবে। নির্ধারিত কয়েকটি সড়ক দ্বীপ (সার্ক ফোয়ারা, কদম ফোয়ারা) সজ্জিত করা হবে। এছাড়া দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে পেট্রোবাংলা কর্তৃক একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান নসরুল হামিদ।
Leave a Reply