ঢাকা, ০৭ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ দুপুরে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সড়কমন্ত্রীর স্বস্তিদায়ক ঈদ যাত্রার ঘোষণা যে সম্পূর্ণ বাকোয়াজ ছিল।
তিনি বলেছেন, ঈদের ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিল না। এর ওপর দুর্ঘটনাও হয়েছে অনেক। সড়কমন্ত্রীর স্বস্তিদায়ক ঈদ যাত্রার ঘোষণা যে সম্পূর্ণ বাকোয়াজ ছিল সেটিরই প্রমান মিলেছে। ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঈদের পরের দিনেও জামালপুর, মাদারপুরে দূর্ঘটানায় প্রাণহানির ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামীলীগ জণগনের সামনে বরাবরই মিথ্যা অঙ্গীকার করেছে।
রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংএ বিএসএমএমইউতে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সেখানে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক চারবারের প্রধানমন্ত্রীর জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে দলের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমি আজকে আবারও বোমা উদ্ধারের ওই রহস্যজনক ঘটনার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সার্বিক নিরাপত্তা ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এই মূহুর্তে তার মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের হেলসিংকীতে আওয়ামীলীগের স্থানীয় কমিটির সংবর্ধনায় বলেছেন-‘বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন জোট বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, এগুলো স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য তিনি বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যে দেশে মধ্য রাতে নির্বাচন হয়, তার আগে ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন ও ১৫৩ টি আসনে ক্ষমতাসীনরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয় তাহলে কি তাতে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়? এধরণের অপকর্মকে কীভাবে আপনি দেশ-বিদেশের মানুষের চোখ থেকে আড়াল করতে পারবেন? দেশ-বিদেশের সবাই জানে ক্ষমতায় মোহাবিষ্ট প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে নিরুদ্দেশ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। গণতন্ত্রের শাশ্বত বাণী মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতার মধ্যে ঐক্যের মিলিত সুরকে প্রধানমন্ত্রী হিংসা-প্রতিহিংসার ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত করেছেন, দেশকে চিরস্থায়ী বিভেদ বিভাজনের সর্বনাশা নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এর একটি ভয়ংকর উদাহরণ প্রধানমন্ত্রী আপনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ার কারণে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ চারবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছেন, তাঁকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করে দেশব্যাপী গুম-খুন-ক্রসফায়ারের মতো মনুষত্যহীন প্রাণবিনাশী কর্মকান্ডের সংস্কৃতি চালু করে মানবতার খোলা বাতাস বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপরও কি এগুলোকে আপনি অপপ্রচার বলেবেন?
Leave a Reply