ঢাকা, ০২ আগষ্ট ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিরাজিত নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি’শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সারাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করা ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ করতে হবে। তাদের আর পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এ রকম একটি ব্যাপারে যদি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের প্রয়োজন হয়, তাহলে ঢাকার দুই সিটি মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’
মান্না অভিযোগ করেন, ‘সরকারের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা না থাকায় ডেঙ্গু মহামারি পর্যায়ে পৌঁছেছে। মশা মারার কার্যকর ওষুধ কিনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিতে হলে ঢাকার মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে থাকার নৈতিক অধিকার থাকে না।’ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিনা পয়সায় ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানান মান্না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘দেশের সবকটি জেলা এখন ডেঙ্গু কবলিত। এরই মধ্যে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ মাত্র কয়েক দিন আগে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র কী বাগাড়ম্বর করেছেন, অনর্থক দলীয় রাজনীতিকে দোষারোপ করেছেন। এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়, এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এরা এখন পর্যন্ত কার্যকর মশা মারবার ওষুধ আমদানি করতে পারেনি। কিন্তু মশা মারবার নাটক করছে।’
মান্না বলেন, ‘নিয়মিত গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে সরকার আজ এতখানি স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ করতে পারত না। একটা রাষ্ট্রে নৈরাজ্য তখনই দেখা দেয়, যখন সেখানে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাতিল করে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। আর এজন্য ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল করে অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
পরিস্থিতি মোকাবেলায় দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, ‘মানুষের জীবন মৃত্যুর এ সন্ধিক্ষণে সরকারের যেকোনো অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উপদেষ্টা এসএম একরাম, সমন্বয়কারী শহিদুল্লাহ কাউসার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মমিনুল ইসলাম, ডা. জাহেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply