ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ রাজধানীর শ্যামলীতে বেসরকারি হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত ইয়ামিন আলভীকে দেখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনাকে দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। এ সকল দুর্ঘটনা রোধে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা গড়ে তুলতে চালক, যানবাহন মালিক, পরিবহন শ্রমিক এবং দেশবাসীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।’অনেক চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাছাড়া, সড়ক ব্যবহারকারী বা পথচারী ও চালকদের অসচেতনতার কারণেও সাধারণত দুর্ঘটনা হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের অদক্ষতা, ট্রাফিক আইন লংঘনের প্রবনতা, কারিগরি ত্রুটি, অতিরিক্ত গতি, ওভার টেকিং ও অতিরিক্ত মালামাল পরিবহন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। অনেক চালকের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তারা ভূয়া লাইসেন্স দিয়ে পরিবহন চালক হিসাবে কাজ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারাই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ।
তিনি আহত আলভীর দুর্ঘটনাকে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, এটা নিছকই একটা সড়ক দুর্ঘটনা নয়। পারভেজ রব কয়েকদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মমার্ন্তিকভাবে নিহত হন। অপরদিকে কয়েক দিন পরেই তার সন্তান আলভী সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় এবং একই দুর্ঘটনায় আলভীর এক বন্ধু নিহত হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে হবে এটা নিছক একটি দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু‘।
তিনি বলেন, সরকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে একটি টাস্কর্ফোস গঠন করেছিল। এই ট্রাস্কফোর্স দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১১০ সুপারিশ করেছে। সরকার সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করছে। এটা বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। তিনি বেপরোয়া গতিতে যে সব চালক গাড়ি চালায় তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী হাসপাতালে আলভীর পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সঙ্গে আলভীর চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সিনিয়র সহ-সবাপতি রফিকুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
Leave a Reply