ঢাকা, ২৯ মে ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আইসিটি আইনের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন। বুধবার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন তিনি।
এর আগে সোনাগাজী থেকে ১০ এপ্রিল তাকে প্রত্যাহারের পর রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়। এরপর ১৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শিক্ষার্থী নুসরাতের অনুমতি ছাড়াই তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবী সুমন তার অভিযোগপত্রে জানান, নুসরাতের সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী এবং মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে ওসি তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন এবং নুসরাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাতকে প্রশ্ন করার সময় অনুমতি ছাড়াই তার বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করেন এবং তা আইন বহির্ভূতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় ভূমিকা রাখেন।
ভিডিওতে দেখা যায় ওসি শিক্ষার্থী নুসরাতকে একের পর এক ‘অপমানজনক ও আপত্তিকর প্রশ্ন’ করছেন।
৮ মে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর গত সপ্তাহে তিনি রংপুর রেঞ্জ অফিসে যোগ দেন। মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তার খোঁজ নিতে রংপুর ডিআইজি অফিসে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা খোঁজ নিতে গেলে কেউই বলতে পারেননি ওসি মোয়াজ্জেম কোথায় আছেন।
এদিকে সোমবার এ মামলার তদন্তে থাকা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানায়, বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও রেকর্ড করেন এবং তা অন্য আরেকজনের মোবাইলে দিয়ে দেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে মোয়াজ্জেমের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়নি। মোয়াজ্জেম যাকে সেই ভিডিওটি পাঠিয়েছিলেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে থাকতে পারেন।
অভিযোগকারী মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তারের জন্যে আদালতে আবেদন করেন।
Leave a Reply