ঢাকা, ১৫ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): সীমান্তে হত্যা বেড়ে যাওয়ায় বিএসএফএর কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। চারদিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শেষে এমন তথ্য জানিয়েছে তারা। তবে বিএসএফ মহাপরিচালকের দাবি, কাউকে টার্গেট করে হত্যা করা হয় না। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা হামলা চালালে মাঝে মাঝে গুলি করতে বাধ্য হয় তার বাহিনী। আজ শনিবার সকালে পিলখানায় বিজিবি হেডকোয়ার্টারে সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এ তথ্য জানায়।
বিজিবি’র মহাপরিচালক মে. জে. মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরও সীমান্তে হত্যা বেড়েছে। আমরা বিএসএফএর কাছ থেকে মাঠ পর্যায়ে এমন হত্যার সংখ্যা জানতে চেয়েছি। দুইপক্ষই একমত হয়েছি। আমরা আশা করি এমন হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
সম্মেলনে বিজিবির এমন উদ্বেগের বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক; এমন হত্যাকাণ্ডকে; অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে অবিহিত করেছেন। বিএসএফ’র মহাপরিচালক শ্রী রজনীকান্ত মিশ্রা বলেন, এটা ঠিক এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমাদেরকেও শোকাহত করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বেশিরভাগ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সীমান্তে আমার জওয়ানদের ওপর হামলা করে অনুপ্রবেশকারীরা। শুধু বিএসএফ না মাঝে মাঝে বিজিবিকেও এমন হামলার শিকার হতে হয়। তারপরও আমরা এসব হত্যা বন্ধে কাজ করব এবং এসব বিষয় আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখব।
বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে সীমান্ত রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার। দীর্ঘ সীমান্তে মাদক, প্রাণী, মানবপাচার চলে দু’পাশেই। এসব অপরাধ বন্ধে প্রতি বছরই দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী আয়োজন করে মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন। শনিবার ৪৮তম সম্মেলনের শেষ দিনও ঘুরে ফিরে এলো সীমান্তে হত্যার প্রসঙ্গ। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসেই নিহত হয়েছেন ১৫ জনেরও বেশি বাংলাদেশি।
আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, মাদক, অস্ত্রসহ অবৈধ চোরাচালান বন্ধে যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়ে উভয় পক্ষই একমত হন। ভারতের নয়াদিল্লিতে আগামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
Leave a Reply