ঢাকা, ০৭ জুলাই ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): সময়ের সঙ্গে হজ ব্যবস্থাপনা উন্নত হলেও বাড়েনি আশকোনা হজ ক্যাম্পের ধারণক্ষমতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা। সৌদি আরবের আগাম ইমিগ্রেশন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য দূরের হাজিদের ২ থেকে তিন দিন আগেই হজ ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে হচ্ছে। কিন্তু ডরমিটরিতে থাকার পর্যাপ্ত সিট ও প্রয়োজনীয় টয়লেট সুবিধা না থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা হজযাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ক্যাম্পের রেস্তোরাঁয় খাবারের বাড়তি দাম নেয়ারও অভিযোগ হাজিদের।
হাজিদের দুর্ভোগ কমাতে প্রতিবছরই নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। অনলাইন ভিসা দেয়া ও প্রথমবারের মতো সৌদি অংশের আগাম ইমিগ্রেশন হচ্ছে ঢাকায়। তবে সময়ের সাথে হজযাত্রীর সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়েনি হজ ক্যাম্পের সুবিধা।
এদিকে অঞ্চলভিত্তিক মুয়াল্লেম বা গাইড নিয়োগ না হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা হাজিরা বিপাকে পড়েছেন। পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সেবা । রেস্তোরাঁয় খাবারের মান ও দাম নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। সইতে হচ্ছে মশার কামড়ও। খাবারের মানের তুলনায় দাম অতিরিক্ত বেশি। মহিলারা অনেক দূর থেকে আসে, তাদের একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। মশার যন্ত্রণায় একটুও তাহকা যায় না।
অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে সমস্যা হচ্ছে স্বীকার করে হজ ক্যাম্পের পরিচালক বলছেন, সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই হজ ক্যাম্প গড়ে উঠেছিল ১০ হাজার হজ যাত্রীদের কেন্দ্র করে। সেসময় যে টয়লেট তৈরি হয়েছিল, সেগুলো তো আর নতুন করে করা হয়নি। সব কিছুর ওপর একটা বাড়তি চাপ পড়ছে।
হজ ক্যাম্পে দেড় হাজার হাজি থাকার ব্যবস্থা থাকলেও পুরুষ ও মহিলা ডরমিটরি মিলিয়ে বর্তমানে অবস্থান করছেন তিন হাজার হজযাত্রী। ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন যাত্রীর মধ্যে আগাম ইমিগ্রেশন হবে ৬০ হাজার হজযাত্রীর।
Leave a Reply