ঢাকা, ১৬ জুলাই ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কুমিল্লায় আদালতের এজলাস কক্ষে বিচারকের সামনে আসামিকে খুন করার ঘটনায় নিরাপত্তাগত দিক থেকে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। ‘নিরাপত্তায় কারো গাফিলতি থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এজলাস কক্ষে এমন একটি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। কিভাবে এজলাস কক্ষে একজন মানুষ ধারাল অস্ত্র নিয়ে আসতে পারে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এতে নিরাপত্তার যদি কোনো গাফিলতি থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘তবে আরেকটি বিষয়, আদালতে কেমন নিরাপত্তা দেয়া হবে এটি আদালত ঠিক করে পুলিশকে নির্দেশ দেয়। আদালতের চাহিদা মতই পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে এমন ঘটনার পর আদালত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আমরা নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।’
গতকাল সকালে কুমিল্লার একটি এজলাসের খাসকামরায় ফারুক হোসেন নামে এক আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আবুল হাসান নামে আরেক আসামি।
২০১৩ সালের ২৬ আগস্টের একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ফারুক ও হাসান। গতকাল মামলাটিতে হাজিরা দিতে গেলে ফারুক ও হাসানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাসান কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় ছুরি নিয়ে ধাওয়া করেন ফারুককে। ফারুক আত্মরক্ষার্থে আদালতের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। তখন সেখানেই উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বাণিজ্যে যেসব পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘অন্য যেকোনো বারের তুলনায় এবার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ স্বচ্ছ হয়েছে। সকল ধরনের তদবির-বাণিজ্য ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ সদর দপ্তর। এত কিছুর মধ্যেও যেসব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Leave a Reply