২৯ জুলাই ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ সোমবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকাসহ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তার করে দুদক। সোমবার দণ্ডবিধির ১৬১, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় মামলা করে। আজ সোমবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন এ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে আসামি নিজ ঘরে রাখেন। ওই টাকা নিয়ে তিনি দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এছাড়া তিনি মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত বিনষ্টসহ সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি এই মুহূর্তে জামিন পেলে গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট করতে পারেন এবং তদন্তেরও বেঘাত ঘটবে।
বিকাল ৫টা পাঁচ মিনিটে আদালত শুনানি গ্রহণ করেন। আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি করেন ঢাকা বারের বর্তমান সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা গাজী শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রচিসহ সিনিয়র আইনজীবীরা।
শুনানিতে তারা দাবি করেন, টাকাগুলো অবৈধ উপায়ে অর্জন করা নয়। তিনি আয়কর রিটার্নে তার হাতে ক্যাশ ৩০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। বাকি টাকা তার মা এবং শাশুড়ি দিয়েছেন ফø্যাট কেনার জন্য। গত বছর তিনি এক লাখ নয় হাজার টাকা আয়কর দিয়েছেন। তিনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসাও করেন। আর কেউ ঘুষ দিয়েছেন সেই অভিযোগও কেউ করেনি। মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি জামিন পেলে পলাতক হবেন না।
আইনজীবীদের শুনানির সময় বিচারক কাঠগড়ায় থাকা আসামি পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনার বেসিক কত? উত্তরে তিনি জানান, ৩০ হাজার টাকা। বাসায় যে টাকা পাওয়া গেছে সে টাকা কোথা থেকে তুলেছেন- বিচারকের এমন প্রশ্নের উত্তরে এ কর্মকর্তা বলেন, পোস্ট অফিসে এফডিআর করা ৩০ লাখ টাকা ছিল তা তুলেছি। টাকাগুলো আমার বেতন ভাতার টাকা। কর নথিতে টাকাগুলো দেখানো আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আইনজীবী ভুল করে টাকাগুলো দেখাননি।
আসামির বক্তব্য এবং উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Leave a Reply