০২ আগষ্ট ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের খোঁচাবাড়ি এলাকায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
নিহতরা হলেন, নিশাত নামের বাসের চালক চায়না (৩৫), সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ (৫২), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিপুল চন্দ্র (৩৫), আব্দুল আব্দুর রহমান (৪৫), মোস্তফা (৪৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), বীরগঞ্জ উপজেলার গলিরামের মঙ্গলী রানী (৭০), একই এলাকার মনেস্বরের স্ত্রী জবা (৩৫), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার টাকাহারা গ্রামের কামরুনেচ্ছা ও মধ্য বালিয়াডাঙ্গী মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের আনোয়ারা বেগম।
সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ডিপজল এন্টারপ্রাইজের একটি বাস ঠাকুরগাঁওয়ে ঢুকছিল। আর নিশাত এন্টারপ্রাইজের বাসটি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থেকে যাচ্ছিল দিনাজপুরের দিকে। পথে খোঁচাবাড়ি এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান।
দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাস দুটি থেকে তিন নারী ও দুজন পুরুষের লাশ উদ্ধার করেন। আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠানোর পর সেখানে আরও দুজন মারা যায়। পরে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরে নেওয়ার পথে ও পৌঁছার পর বাকিদের মৃত্যু হয়।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. প্রভাষ কুমার দাশ জানান, আহতদের হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে দুজন মারা যান। এ ছাড়া ২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে যান জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়।
Leave a Reply