ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ মঙ্গলবার রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেছেন, অক্টোবরে ভারত থেকে ২০টি লোকোমেটিভ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে’ ভারত এই ইঞ্জিনগুলো বাংলাদেশকে দেয়ার কথা জানিয়েছে। ২০টি ইঞ্জিনের মধ্যে ১০টি মিটার গেজ ও ১০টি ব্রড গেজ চলার উপযোগী। ভারত ও চীন সফর করে দেশে ফেরা মন্ত্রী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এই লোকোমেটিভগুলোর হস্তান্তর হবে বলে আশা করছেন।
তিনি বলেন, ‘রেলে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের সঙ্কট রয়েছে। ভারতীয় ঋণে যেসব ইঞ্জিন আসার কথা, সেগুলো ২০২২ সাল নাগাদ পাওয়া যাবে।’ ‘রেলের ইঞ্জিন সঙ্কট কাটাতে আমরা ভারতের কাছে ক্রয় অথবা ভাড়ায় কিছু ইঞ্জিন চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ২০টি ইঞ্জিন বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে দিতে রাজি হয়েছে। এর ১০টা মিটার গেজ এবং ১০টা ব্রড গেজ।’ বর্তমানে রেলওয়ের ২৩৩টি লোকোমোটিভ রয়েছে এবং তার মধ্যে ৬৮ শতাংশের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনকে সপ্তাহে চার দিন থেকে বাড়িয়ে ছয় দিন করতে চাই। অর্থাৎ ছয় দিনে ১২ বার চলাচল করবে। আর বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক দিনের বদলে সপ্তাহে যেন তিন দিন চলতে পারে, সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
চীন সফর করে ফেরা রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটির রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছি, যা বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে কাজে দেবে।’ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইনের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। তবে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসময় ২০২১ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় পদ্মা রেল সংযোগ চালুর ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামানসহ প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply