ফরিদপুর, ২২ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সাংবাদিকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সাতৈর বড়নগর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা বাড়িতে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং আটজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এর মধ্যে চারজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- আব্দুল সালাম শেখ, আবুল কালাম, মোহাম্মদ জালাল ও রুবি বেগম।
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবার বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেছে। এরই মধ্যে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
ঢাকাটাইমসের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত শরিফুল ইসলাম রনি। তার বাড়িতেই এই ঘটনা ঘটে। রনি জানান, তার বাবা-চাচারা একত্রে একটি বাড়িতে বসবাস করেন। মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজ আদায় করতে তারা মসজিদে যান। এই সুযোগে ১০/১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের জিম্মি করে। এরপর শুরু হয় লুটপাট। মহিলারা বাধা দিলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। ডাকাত দল প্রতিটি ঘরে ঢুকে আলমারি ও শো-কেচ ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ক্যামেরা লুট করে নিয়ে যায়।
রনি বলেন, নামাজ শেষে আমরা বাড়িতে ঢুকতেই ডাকাতদলের কয়েকজন আমাদের আঘাত করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় আমার বাবা, দুইচাচা, ফুপুসহ আটজন আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাজার এলাকায় বাড়ি হলেও করোনার কারণে ৬টার পরই বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে তারা বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির সুযোগ পেয়েছে, বলেন রনি।
ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন বলে জানান সাংবাদিক রনি। তিনি বলেন, আমাদের পরিবার দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বেশ কয়েকজনকে আমার বাবা-চাচারা চিনতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, স্থানীয় দুলাল মোল্লা, হাসান মোল্লা, বাবুল মোল্লা, লুৎফর মোল্লা, রিয়াজ শেখ। দুলাল মোল্লার নেতৃত্বেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা একটি মামলা করেছেন। এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে যাদের নামে মামলা করা হয়েছে, এরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি। যেই জড়িত থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।
র্যাব-৮ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘আমরা ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’
Leave a Reply