দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ও উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাইলেন সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি হলেন মোহাম্মদ সুফিউর রহমান শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না- এমন চর্চা আমরা দেখি না : বিএনপি বিএনপি বৈঠক করলো সিপিবি, বাসদসহ বাম নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করলো গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর এটি কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয় : মির্জা ফখরুল বিচার ও সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে : এনসিপি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বৈঠক
মাদারীপুরের শিবচরে নতুন করে করোনার আক্রান্ত : আতঙ্কে এলাকাবাসী

মাদারীপুরের শিবচরে নতুন করে করোনার আক্রান্ত : আতঙ্কে এলাকাবাসী

হেলথ ডেস্ক, ২৯ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট):  মাদারীপুর জেলার শিবচরে নতুন করে এক নারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় স্বস্তির আকাশে যেন কালো মেঘের ছায়া দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কোনো রোগী শনাক্ত না হওয়ায় এক ধরনের স্বন্তি দেখা দিয়েছিল শিবচরের জনসাধারণের মনে। তবে গত ২২ এপ্রিল করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক মহিলার নমুনা রিপোর্টে করোনা পজেটিভ এবং সোমবার রাতে উপজেলার কাঁঠালবাড়ী এলাকার এক নারীর নমুনায় করোনা পজেটিভ আসলে স্বস্তির জায়গা দখল করে নেয় শংকায়। নতুন করে আবারো করোনায় শনাক্তের খবরে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে তারা এমন শঙ্কার কথা জানান।

কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকার এক কলেজছাত্র জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল শিবচরে কেউ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে এমনটাই দেখছিলাম এবং তাতে করে একটা স্বস্তি অনুভব করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই আবার করোনা শনাক্ত হওয়ায় শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলাই উচিত।’

আরেক ব্যক্তি জানান, শিবচর লকডাউন। করোনা প্রতিরোধে সব সময় বাড়িতেই থাকছি। অতি প্রয়োজন ছাড়া কোথাও যাই না। এর মধ্যে কিছুদিন যাবৎ নতুন করে করোনায় আক্রান্তের কোন খবর ছিল না। বেশ স্বস্তিতে ছিলাম। ভেবেছিলাম আরও কিছুদিন লকডাউনে থাকলে পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু হঠাৎ করেই আক্রান্তের খবরে স্বস্তি উবে গেছে!’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত ১৮ মার্চ উপজেলা প্রশাসন উপজেলার করোনা আক্রান্ত রোগী থাকায় পৌরসভার ২টি ওয়ার্ড, পাঁচ্চর ইউনিয়নের একটি গ্রাম ও বহেরাতলা ইউনিয়নের একটি গ্রামসহ চারটি এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করে। মূলত ওই চারটি এলাকাতে তখন করোনা রোগী ছিল এবং চারটি এলাকাই ইতালি ফেরত প্রবাসী অধ্যুষিত।

এরপর প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর আবারও করোনা আক্রান্ত হলে গত ৬ এপ্রিল সংক্রমণ ঠেকাতে পুরো উপজেলা লকডাউনের ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন। উপজেলার সাথে অন্যান্য স্থানের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল বাড়তে থাকে।

এরপর গত ১৯ তারিখ রবিবার পুনরায় আক্রান্ত হওয়া ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে এবং এরপর প্রতিদিনই পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো নমুনার রিপোর্টে শিবচরের কাউকে পজেটিভ পাওয়া যায়নি। এক প্রায় সপ্তাহ পর গত ২৬ ও ২৭ তারিখ পাওয়া রিপোর্টে উপজেলায় নতুন করে আরো দুইজনের করোনা সনাক্ত হয়। এর মধ্যে একজনের মারা যাওয়ার তিনদিন পর করোনা শনাক্ত হয়। করোনা শনাক্ত হওয়ায় দুই এলাকাতেই বেশ কিছু পরিবারকে লকডাউন করেছে প্রশাসন।

শিবচর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার উপজেলার কুতুবপুরে মারা যাওয়া এক মহিলার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এলে ওই গ্রামের ৫০টি পরিবারকে লকডাউন করে রাখা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার কাঁঠালবাড়ী এলাকায় আরো এক মহিলার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলে তাদের বাড়িসহ আশপাশের বেশ কিছু বাড়ি লকডাউন করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা শশাঙ্ক ঘোষ বলেন, ‘সোমবার রাতে পাওয়া রিপোর্টে করোনায় আক্রান্ত ওই নারীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি কিছুদিন পূর্বে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে শিবচরে তার বাড়িতে আসেন। আসার পরই তিনি সর্দি-জ্বরে ভুগেন। গত ২৪ তারিখ তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে ২৭ তারিখ রাতে রিপোর্ট এলে আমরা করোনা পজেটিভ পাই।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সবগুলো উপজেলার নমুনা একত্র করে আমরা একদিন পর পর ঢাকায় পাঠাই। সেক্ষেত্রে রিপোর্টও এক-দুই দিন পর পর আসে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT