মানিকগঞ্জ, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ রবিবার বিকালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে, আগামী বছরের ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে আসল খেলা হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন হলে রাজপথ, জনপথ, শহর, পাড়া-মহল্লা, ইউনিয়ন ও জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবে। দেশের মানুষ কয়েকদিন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি পোহালেও এখন কোনো লোডশেডিং নেই। দেশের রিজার্ভ কমে গিয়েছিল। বর্তমানে আমাদের ৫ মাসের আমদানির রিজার্ভ রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের রিজার্ভ কমে গিয়েছিল। এখন আবার রিজার্ভের গতি ফিরে এসেছে। ৫ মাসের আমদানি করার মতো এখনো রিজার্ভ আমাদের আছে। মানুষ কষ্ট করে এমন কোন মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা গ্রহণ করবে না। বিশ্ব সংকট, তবুও ভয় পাইনি আমরা। দেশে খাবার মজুদ আছে। দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আমাদের লক্ষ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আমার সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।
সেতু মন্ত্রী আরো বলেন, ১০ তারিখ তো চলে গেল কোথায় বিএনপির নেতারা। বেগম জিয়া তো ক্ষমতা দখল করতে পারল না, উনি যেখানে ছিল সেখানেই আছে। তারেক জিয়া তো মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে গিয়েছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর চলে গেল। তারেক রহমান আসবে কোন বছরে? মানুষ বাঁচে কয় বছর।
বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে বলে গলা ফাটায় কিন্তু তাদের ঘরে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের বলবো তাদের জিজ্ঞেস করেন তাদের সম্মেলন কবে হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের দিবাস্বপ্ন ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপির আমলে তাদের নেতাকর্মীদের উন্নয়ন হয়েছে, দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়নি। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নও হয়েছে। বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যর পদত্যাগের ব্যাপারে তিনি আরে বলেন, যারা পদত্যাগ করেছেন তারা অচিরেই পস্তাবে। তাদের পদত্যাগের কারণে সংসদ অচল হবে না।
সমাবেশে বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ আখ্যায়িত করে কাদের বলেন, ‘জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। বিএনপির সাতজন চলে গেলে সংসদ অচল হয়ে পড়বে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এর জন্য দলটিকে অনুতাপ করতে হবে।’
মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সম্মেলনে সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সাত বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, দলের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম এমপি, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি, নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি, মমতাজ বেগম এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা সাঈদ খোকন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সামছুন নাহার চাপা প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আগামী তিন বছরের জন্য গোলাম মহীউদ্দীনকে সভাপতি ও আব্দুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
Leave a Reply